গাজীপুর সিটি নির্বাচনে ভুল শুধরে কৌশলী বিএনপি, কোন ছাড় নয় - বিএনপি প্রার্থী।
У вашего броузера проблема в совместимости с HTML5
গাজীপুর সিটি নির্বাচনে ভুল শুধরে কৌশলী বিএনপি, কোন ছাড় নয় - বিএনপি প্রার্থী।
খুলনা সিটি নির্বাচনের সীমাবদ্ধতা থেকে বেরিয়ে গাজীপুরে বিজয় ছিনিয়ে আনতে চায় বিএনপি। এজন্য পরিকল্পনা সাজিয়েছে দলটি। বিএনপির নীতি নির্ধারকেরা বলছেন, খুলনায় ভোটের দিন কেন্দ্রগুলোতে কর্মীশূন্য থাকাটাই তাদের বড় ভুল। এ ছাড়া সেখানে কেন্দ্র এজেন্ট উপস্থিতিও নিশ্চিত করতে পারেনি তারা। কর্মীস্বল্পতা আর এজেন্টদের অনুপস্থিতির কারণে খুলনায় ভোট কেন্দ্রে সরকারি দল ‘কারচুপি’ করতে পেরেছে।
এসব বিষয় মাথায় রেখে বিএনপির পরিকল্পনা হলো, মাঠে থাকা। ভোটের আগের রাতে কেন্দ্র পাহারা, ভোটের দিনে নেতা-কর্মীদের উপস্থিত রাখা, ভোটকেন্দ্রে পোলিং এজেন্ট নিশ্চিত করার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। ভোটের দিন শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রতিটি বুথেই এজেন্ট উপস্থিতি নিশ্চিত করতে চায় তারা। একই সঙ্গে মামলা নেই এমন নেতা-কর্মীদের পোলিং এজেন্ট নিয়োগ দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
আজ সকালে বিএনপির মেয়র প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকার আবারও তাঁর নেতা-কর্মীদের হয়রানি ও গ্রেপ্তারের অভিযোগ তোলেন। তিনি বলেন,‘আমাদের এজেন্টদের আটকে রাখার চক্রান্ত করা হয়েছে। নির্বাচনের সময় আটকে রেখে তাঁদের কোনো কিছু করতে দেওয়া হবে না। তাঁদের নির্বাচন থেকে বাইরে রাখার চেষ্টা হচ্ছে।’ তিনি অভিযোগ করেন, বিএনপির ৫০ জন নেতা কর্মীকে মামলা দিয়ে ব্যস্ত রাখা হয়েছে। আজ নির্বাচনী প্রচারের শেষ দিনে ওই সব মামলায় নেতা কর্মীদের অনেকের হাজিরার দিন ধার্য করা হয়েছে। এটা করা হয়েছে, যাতে নেতা কর্মীরা তাঁর পক্ষে নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিতে না পারেন।
গাজীপুর ও কেন্দ্রীয় বিএনপির নেতারা প্রথম আলোকে বলেন, খুলনা আর গাজীপুরের পরিবেশ এক না। এটা অনেক বড় সিটি করপোরেশন। এক প্রান্তে কিছু ঘটলে খবর পেলে যে কোনো সময় বিস্ফোরণ ঘটে যেতে পারে।
গাজীপুর বিএনপির সভাপতি ও হাসান উদ্দিন সরকারের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সভাপতি ফজলুল হক মিলন বলেন ‘সরকারি দলের হাজারো চাপের ভেতরেও ভোটের শেষ পর্যন্ত বিএনপি নেতা-কর্মীরা থাকবে। খুলনার মতো প্রহসনের চেষ্টা করা হলে গাজীপুরবাসী রুখে দাঁড়াবে।